মাদারগঞ্জে সমবায় অর্থ ফেরতের দাবিতে চতুর্থ দিনেও অচল প্রশাসন
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় সমবায় প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থ ফেরতের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনেও অচল হয়ে পড়েছে উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রম। ‘সমবায় গ্রাহক অর্থ উদ্ধার সহায়ক কমিটি’র উদ্যোগে হাজারো গ্রাহক উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
১১ নভেম্বর সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে অবস্থান নেন। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সহ অন্তত ২৯টি সরকারি দফতরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনিক সেবা না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০২২ সালের শেষ দিকে আল-আকাবা, শতদল, স্বদেশ, নবদীপ, রংধনু ও সোনালীসহ ২৭টি সমবায় প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত সংগ্রহ করে হঠাৎ গা ঢাকা দেয়। সরকারি হিসেবে এই অঙ্ক ৭৩০ কোটি টাকা হলেও বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ।
কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী বলেন, “দুই বছর ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।” সদস্য সোনা মোল্লা জানান, “অনেকে সন্তানদের স্কুল ফি দিতে পারছে না, চিকিৎসাও করাতে পারছে না। কয়েকজন গ্রাহক বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রতারণার অভিযোগে থাকা মালিকদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের ক্ষমতা সীমিত হলেও তদারকি চলছে।”
প্রতারিত গ্রাহকরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রশাসনের প্রতি তাদের আহ্বান, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ মানুষের অর্থ ও আস্থা ফিরিয়ে আনা হোক।




Comments