Image description

নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে কৃষকদল নেতা নাহেদুর রহমান পারভেজ নামে একজনকে প্রকাশ্যে মারধর- হামলা ও তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। 

তবে সিসিটিভি ফুটেজে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একজনকে দেখা গেলেও পুলিশের দাবি, গুলির আলামত পাওয়া যায়নি।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় মাইসদাইর বাজারের বেগম রোকেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত পারভেজ স্থানীয় মো. ফিরোজের ছেলে ও নাসিক ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, পারভেজের সাথে মোবাইল নিয়ে জাহিদ নামে একজনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। এর জেরেই শনিবার বিকেলে ৪/৫ জন পূব পরিকল্পনা অনুযায়ী পারভেজের ওপর হামলা করে মারধর ও ছুড়িকাঘাতে আহত করে। এ সময় সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ উঠে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পরে। তবে সে গুলিবিদ্ধ হয়নি।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩'শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত পারভেজ অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে বলেন, “বাইট্টা মাসুদ, রিপন, জাহিদ আরও ২/৩ জন। তারা মূলত গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা। ওরা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। আমি জানতাম ওরা গলির ভেতর মাদক কেনাবেচা করে। কিন্তু আমি ওইদিকে তাকিয়ে ছিলাম না, আমি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম। এক পর্যায়ে ওরা বলে, ‘চাইয়া আসোস কেন’! এই বইলা আমাকে মারতে আসে আর বুইট্টা মাসুদ গুলি চালায়।”

এদিকে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তার মাঝে চারজন ছুড়ি দিয়ে পারভেজকে আঘাত করছে। যার মধ্যে একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ঘটনায় গুলি চালানোর কোনো আলামত আমরা পাইনি। আহত পারভেজও গুলিবিদ্ধ হয়নি, একই সাথে প্রত্যক্ষদর্শীরা গুলি চালাতেও দেখেনি, এমনকি গুলির শব্দও পায়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো কিছু একটা তাক করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে এটি আসলে কি?? তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।