বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, “জামায়াতে ইসলামীসহ যারা আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে, তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।” প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘জাতীয় বাস্তহারা দল’ আয়োজিত ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে বাস্তহারাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামী ও তাদের মিত্রদের কঠোর সমালোচনা করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “যারা গত ১০ বছর নিষ্ক্রিয় ছিলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, আজ তারাই কয়েকটি দল মিলে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। ১৯৭১ সালে যারা পাকিস্তানি সৈন্যদের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের অত্যাচারের কথা আজও মনে পড়ে।”

তিনি আরও বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে যখন এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তখন এরা কোথায় ছিল? এরাই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সঙ্গে গিয়ে একাধিকবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এখন বলছে পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, গণভোট ছাড়া নির্বাচন হবে না। আসল কথা, নির্বাচন করতেই হবে। না করলে কোথায় যাবেন? আন্দোলন করবেন কার বিরুদ্ধে? ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আবু সাঈদ, মুগ্ধদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত এই সরকারের বিরুদ্ধে?”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “যাকে সারা বাংলাদেশের মানুষ সমর্থন দিয়ে সরকারে বসিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে যিনি বাংলাদেশের সুনাম বয়ে এনেছেন, সেই অধ্যাপক ইউনুস সাহেব স্পষ্ট বলেছেন—বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।”

তারেক রহমানের নেতৃত্বে সুশাসনের আশা

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কার্যকর সংসদ, সুশাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠিত হবে।

হাসিনাকে ফেরত আনতেই হবে

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, “গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে রায় হয়েছে, তা কার্যকর করতেই হবে। ভারত যদি বন্দি বিনিময় চুক্তি মানতে চায়, বন্ধুত্ব রাখতে চায়, তাহলে অচিরেই হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে।”

জাতীয় বাস্তহারা দলের সভাপতি শরীফ রাগিবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, বাস্তহারা দলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।