Image description

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সী নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৩ ও সংশোধন আইন ২০২১ এর সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ধারা সমূহ ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসার স্বার্থ পরিপন্থী হওয়ায় তা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সৈয়দপুর, নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের সকল ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ও কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

ঘন্টাব্যাপী চলা ওই মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন ট্রাভেল এজেন্ট মো. জালাল চৌধুরী, মো. আমিনুল ইসলাম রতন, জালাল উদ্দিন টিপু, জাকির হোসেন মেনন, মাহতাব হোসেন, আমির রশিদ, মেহেদী হাসান, আলমগীর হোসেন, দিলদার হোসেন রিপন, মহসিন আলী, একরামুল হক, ফজলুর রহমানসহ সৈয়দপুর, নীলফামারী, রংপুর, ঢাকার বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টরা। 

মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন ট্রাভেল এজেন্ট শরিফুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, গত ২৯ অক্টোবার বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ট্রাভেল এজেন্সী নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০১৩ এর সংশোধন আইন ও ২০২১ এর সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়ার বিভিন্ন ধারা ও উপধারাগুলো ট্রাভেল এজেন্সীর স্বার্থ পরিপন্থী। এই অধ্যাদেশ পাশ হলে ট্রাভেল এজেন্সি শিল্প ধংশ হয়ে যাবে এবং প্রায় ৫ হাজার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সী বন্ধ হয়ে যাবে। এর সাথে জড়িত প্রায় ২০ লক্ষ লোক পথে বসবে।

তারা আরও বলেন, এই খসড়া অধ্যাদেশ তৈরিতে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সী সংগঠনের প্রতিনিধিদের যথাযথ পরামর্শও নেওয়া হয়নি। প্রকৃত ট্রাভেল এজেন্সী মালিকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নীতিমালার খসড়া তৈরি করলে এমন ধাংসাত্বক সিদ্ধান্ত আসতো না। অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে এক এজেন্সী থেকে অন্য এজেন্সী টিকেট ক্রয়-বিক্রয় করিতে পারিবে না, যা সম্পূর্ণ বাস্তবতার পরিপন্থী। 

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে অফলাইন ট্রাভেল এজেন্সীর জন্য জামানত ১০ লাখ টাকা কিš‘ এই জামানতের টাকা কেন রাখবো বা সরকার আমাদেরকে এর বিপরীতে কি কি সুযোগ সুবিধা দিবে তা এই নীতিমালায় বলা হয় নাই। এবং অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সীর ক্ষেত্রে জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। অথচ এটি করার দরকার ছিল হাজার কোটি টাকা। কারণ ওরা পালিয়ে যাওয়ার সময় শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। 

আমরা মনে করছি যে, ট্রাভেল এজেন্সীর বৃহৎ একটি অংশকে বাদ দিয়ে সামান্য কিছু কতিপয় লোভী এজেন্সী স্বার্থে ও তাদেরকে টিকেট সিন্ডিকেট করার সুবিধা প্রদান করার স্বার্থে এই কালো নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। অধ্যাদেশ নীতিমালা লঙ্ঘন করলে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধানের স্থলে বর্তমান অধ্যাদেশে ৩ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে আমরা এই ধারার তীব্র বিরোধীতা করছি ও সংশোধনের জোর দাবী জানাচ্ছি। 

সবশেষে অধ্যাদেশ জারি না করে নির্বাচিত সরকার কর্তৃক জাতীয় সংসদের মাধ্যেমে আইন সংশোধন করার জন্য দাবী জানান ট্রাভেল এজেন্টরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরারবর স্মারকলিপি পেশ করেন তারা।