Image description

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এই কম্পন অনুভূত হয়। হঠাৎ ভূমিকম্পে জনমনে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, বিকেলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। ভূ-পৃষ্ট থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে এর কেন্দ্রের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।

এর আগে বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরে এলাকায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রাত ৩টা ২৯ মিনিটে বঙ্গোপসাগর এলাকায় আঘাত হানা এ ভূমিকম্পের প্রভাবে কেঁপে উঠে দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ।

গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওইদিন সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী।

শুক্রবারের মাঝারি মানের ওই ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত সারাদেশে ১০ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও ভূমিকম্পের সময় ভবন থেকে মাথায় ইট খসে পড়ে ও আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে সারাদেশে অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ আহত হন।

এর পরদিন শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটেও দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মৃদু ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও ছিল নরসিংদীর পলাশে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। পরবর্তীতে একই দিন সন্ধ্যায় আবারও দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

ওইদিন সন্ধ্যায় এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরমধ্যে প্রথম ভূ-কম্পনটি অনুভূত হয় সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে। মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। এরপর ফের সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয় ভূ-কম্পনটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এরমধ্যে প্রথম ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকার বাড্ডা, আর দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।