ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ লিও সফর শুরু করছেন। ছয় দিনের এই সফরে তিনি তুরস্ক ও লেবাননে যাবেন। আজ বৃহস্পতিবার পোপ লিও তুরস্কে পৌঁছেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটি সফরে গিয়ে পোপ লিও সংলাপ ও ঐক্যের উপর গুরুত্ব দেবেন। খবর সিএনএনের
পোপের ‘নরম শক্তি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বিদেশ সফর। এমন সফরে পোপ আয়োজক দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। স্থানীয় ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও পোপ আঞ্চলিক বিষয়গুলোতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার সুযোগ পান।
লেবাননে মধ্যপ্রাচ্যের একটি সংঘাতপূর্ণ দেশ। ইসরায়েলি হামলার কয়েকদিন পরই দেশটির রাজধানী বৈরুতে পৌঁছাবেন পোপ লিও। লিওর এই সফর মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রীতি ও সংলাপের জন্য তার আবেদনকে আরও জোরদার করবে। পোপ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর লিওর প্রথম বাণী, ‘তোমাদের সবার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।’
পোপ ফ্রান্সিসের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন পোপ লিও। যিনি দক্ষিণ সুদান এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করতে সফরে গিয়েছিলেন। পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর ফ্রান্সিস তুরস্ক ও পবিত্র ভূমি জেরুজালেমেও গিয়েছিলেন।
আমেরিকান বংশোদ্ভূত পোপ লিও মধ্যপ্রাচ্যে ছুটির সময় সফর শুরু করছেন। এটি এমন এক সময় যখন সবার মনে কৃতজ্ঞতা, ঐক্য ও শান্তি বিরাজ করে।
প্রাচীন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের আদি আবাসস্থল তুরস্ক ও লেবানন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ দুটিতে পোপের প্রথম সফল সারা বিশ্বে একটি বার্তা দিতে পারে। পোপের এ সফরে খ্রিষ্টধর্মের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সংলাপ ও ঐক্যের ওপর জোর দেওয়া হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। লিও তার সব বক্তব্য ইতালী ভাষায় নয়। বরং ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় দেবেন, যা পোপ সংস্কৃতির পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে।




Comments