১৮২ রানের লক্ষ্য পার করতে হলে চট্টগ্রামের এই মাঠে নিজেদের আগের রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড টপকাতে হবে। যেটি ছিল ১৫৮ রানের যা ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল বাংলাদেশ।
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে। এমন সমীরকণের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতেই হেরে যায় বাংলাদেশ! দলীয় ১৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম পাঁচ ওভারেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শেষ দিকে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারা লিটনদের হারের ব্যবধান কমিয়েছে তাওহীদ হৃদয়ের ৮৩ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ৩৯ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে নেয় আইরিশরা।
১৮২ রানের লক্ষ্যে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২ রান করে মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তানজিদ হাসান। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিসের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ফেরেন তামিম।
প্রথম ওভারে তানজিদ হাসানের বিদায়ের পর দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৩ বলে ১ রান করে পেসার মার্ক অ্যাডাইয়ারের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে টিম টেক্টরের কাছে ক্যাচ দেন লিটন। দলীয় ৪ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ আরও বিপর্যয়ে পড়ে চতুর্থ ওভারে।
আডাইয়ারের দ্বিতীয় শিকার হন পারভেজ ইমন। ৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি (চার) আসে পঞ্চম ওভারে সাইফ হাসানের ব্যাটে। তবে সাইফও ফিরতে বেশি দেরি করেননি। ষষ্ঠ ওভারে দারুণ এক বলে সাইফকে বোল্ড করেছেন আইরিশ পেসার ব্যারি ম্যাকার্থি। দলীয় ১৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল শুরুতেই। তবু পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিকের জুটিতে সমর্থকরা কিছুটা আশা দেখছিল। সেই আশা অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে দেয়নি আয়ারল্যান্ড।
৬ ওভারে ২০ রান তোলা বাংলাদেশের স্কোর হৃদয়-জাকেরের ব্যাটে ১০ ওভার শেষে ৫৯ রানে দাঁড়ায়। তখনো ১০ ওভারে ১২৩ রানের প্রয়োজন বাংলাদেশের। পানি বিরতির পর ব্যারি ম্যাকার্থির করা ১২তম ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ বলে ২০ রান করা জাকের। ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১৩তম ওভারে নিজেদের বড় পতন দেখেছে। বাঁহাতি স্পিনার হামফ্রিসের এক ওভারে স্বাগতিকরা হারিয়েছে ৩ উইকেট। একে একে ফিরেছেন তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
৭১ রানে ৫ উইকেট থেকে ১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭৪/৮। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন হামফ্রিস।
৭৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১ বছর আগের পুরোনো এক লজ্জার সামনে ফের পড়ার শঙ্কা জেগেছিল। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের এই মাঠে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের (১০৮) রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। ১০৮ রানের আগে অলআউট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হলেও তাওহীদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ফিফটিতে সেই শঙ্কা কেটে যায়।
শেষ দিকে হৃদয়ের ৫০ বলে ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে বাংলাদেশ হারের ব্যবধান কমিয়েছে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৪২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে হ্যারি ট্যাক্টরের ৪৫ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস ও টিম ট্যাক্টরের ১৯ বলে ৩২ রানের ইনিংসে ১৮১ রানের সংগ্রহ পায় আয়ারল্যান্ড।




Comments