Image description

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সিলেট জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ভুক্তভোগী রোগীর নাম ত্বোহা মিয়া (২৬)। তিনি ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আবদুল হান্নানের ছেলে এবং ছাতক বাজারের ‘আল হারামাইন থান অ্যান্ড টেইলার্স’-এর পরিচালক।

জানা যায়, পেটে ব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ত্বোহা মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে বেলা ২টার দিকে পপি নামের এক নার্স তার শরীরে স্যালাইন পুশ করেন। স্যালাইন চলাকালীন ত্বোহা মিয়ার পেটের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

এ সময় রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজন আল আমিন তাশরিফ লক্ষ্য করেন, পুশ করা স্যালাইনটির মেয়াদ আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সরকারি সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত ওই স্যালাইনটি ২০২২ সালের জুন মাসে উৎপাদিত এবং এর মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৫ সালের ৫ মে।

ঘটনার পরপরই রোগীর স্বজন আল আমিন তাশরিফ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার বিষয়টি তুলে ধরেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, বিষয়টি সুরাহা করতে বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত আরেফিন বলেন, ‘এটি গুরুতর অপরাধ। তবে ওই স্যালাইনটি আমাদের স্টকে নেই। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি করেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনা তদন্তে ডা. ফাতেমাতুজ জহুরাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’