Image description

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রচারণার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৩৪টি গান। ভোটারদের কাছে বিষয়টি সহজে তুলে ধরতে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এসব গান তৈরি করা হয়েছে, যা নির্দিষ্ট অঞ্চলে পরিবেশন করা হবে। এছাড়া গ্রামের হাট-বাজারে মানুষকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখাতে ডেমো প্রদর্শন করা হবে। সরকারি সংস্থা গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর তথ্য ভবনে সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে মাঠপর্যায়ের প্রচার কৌশল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, ‘ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। তাই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাড়াতে জেলা পর্যায়ে জনমুখী ও উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রচার কৌশল নিবিড় ও জনস্পর্শী হওয়া প্রয়োজন। ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত জনগণকে সঠিক তথ্য জানানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করবে।’

এছাড়া গুজব মোকাবিলায় পিআইবির নেতৃত্বে ‘বাংলা ফ্যাক্ট’-এর সঙ্গে তথ্য অফিসারদের সংযোগ স্থাপন করে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন সচিব।

সভাপতির বক্তব্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, ‘প্রচার কাজে অধিদপ্তরের ১০২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে ৩৪টি গান প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো আঞ্চলিক ভাষায় গেয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে প্রচার করা হবে। এছাড়া গ্রামের হাট-বাজারে কীভাবে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে হয়, তার ডেমো জনগণকে দেখানো হবে। প্রচারণাকে আরও আধুনিক ও হৃদয়গ্রাহী করতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম, যুগ্ম সচিব মাহফুজা আখতার, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এবং সৈয়দ এ মু’মেন প্রমুখ।