সীমান্তে চোরাচলান, নারী ও শিশু পাচার, মাদক প্রতিরোধ এবং সম্ভাব্য ‘পুশ-ইন’ (অবৈধ অনুপ্রবেশ) ঠেকাতে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর এলাকার কাচারীপাড়া ফুটবল মাঠে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন (পিবিজিএম, বিজিওএম, পিএসসি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ কামাল রনি (এসইউপি, পিএসসি, জি) এবং সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মো. জাকিরুল ইসলাম।
আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মতবিনিময় সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলমান পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ বা অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিএসএফ যাতে কোনোভাবেই এটি করতে না পারে, সেজন্য আনসার-ভিডিপিসহ স্থানীয় জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি পুশ-ইন মোকাবিলায় বিজিবির সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য স্থানীয়দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এ সময় তিনি সীমান্তের ওপারের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে বিজিবিকে জানানো এবং বিএসএফের গেট বা সন্দেহজনক স্থানে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
সীমান্ত হত্যা ও অপরাধ কমাতে তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, ‘শূন্য রেখা অতিক্রম করা যাবে না এবং সন্ধ্যার পর সীমান্তে অবস্থান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া শূন্য রেখা বরাবর গবাদি পশু চড়ানো, ভারতের অভ্যন্তরে ঘাস কাটতে যাওয়া কিংবা ভারতীয় জমি লিজ নেওয়া বা চাষাবাদ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
সেক্টর কমান্ডার মাদক, স্বর্ণ, অস্ত্র ও মানব পাচারকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সীমান্ত আইন মেনে চলা এবং যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে জানানো প্রত্যেক দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্য।’
সভায় উপস্থিত স্থানীয় জনগণ বিজিবির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সীমান্ত অপরাধ দমনসহ পুশ-ইন রোধে বিজিবির পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।




Comments