Image description

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম (৩৬) পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। 

মৃত রেজাউল করিম ওরফে রেজা হ্নীলা দরগাহপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে এবং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। 

টেকনাফ থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, আলোচিত ইউনুস মেম্বার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন রেজাউল। গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজার শহরের ইউনিয়ন হাসপাতাল থেকে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 
তখন জানা যায়, তিনি শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা এবং বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। 

পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ইউনিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। 

ওসি জানান, রেজাউলের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদক, অস্ত্রসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। 

এদিকে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর এই ইউপি সদস্যকে না পেয়ে তাঁর সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেকে অস্ত্র দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল টেকনাফ থানার সাবেক ওসি গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তখন আড়োলন সৃষ্টি হয় এবং সমালোচনার মুখে পড়েন ওসি। 

গত ৪ নভেম্বর টেকনাফের দক্ষিণ ফুলের ডেইলে স্থানীয় মো. আলমের বাড়িতে দাওয়াতে যান ইউনুস মেম্বারসহ আরও ১০-১১ জন। দাওয়াতের এক পর্যায়ে পূর্বশত্রুতার জেরে ইউনুস মেম্বারকে আটকে রেখে তাঁর পরিবারের কাছে ৬০-৭০ লাখ টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে স্থানীয় সড়কের একটি ব্রিজের নিচে ইউনুস মেম্বারের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ৬ নভেম্বর তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার আসামি ছিলেন রেজাউল।