ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর সিভেরস্ক পুরোপুরি নিজেদের দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শহরটি দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই খবরে সন্তোষ প্রকাশ করে সেনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে তবে অবিচলভাবে পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর কাছ থেকে ভূখণ্ডগুলো দখল করছে। দোনেৎস্কে উভয় পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে।
রাশিয়ার সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেছেন, মস্কোর সেনারা সিভেরস্ক দখল করেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই বিষয়টির ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে।
যুদ্ধে আরকে ধাপ এগিয়ে যাওয়ায় সেনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন।
এদিকে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি শহরে রাশিয়ার বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের বেশ কয়েকটি স্থাপনা।
এর আগে রাতভর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী।
অন্যদিকে কাস্পিয়ান সাগরে রাশিয়ার একটি বড় অফশোর তেল প্ল্যাটফর্মে দূরপাল্লার ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা দফতর। গণমাধ্যম বলছে, ১০ থেকে ১১ ডিসেম্বর রাতের ওই হামলার পর সেখানকার ২০টিরও বেশি কূপের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মস্কোর অগ্রসর হওয়া কয়েকটি দীর্ঘপাল্লার ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাতে হামলার আশঙ্কায় মস্কোর দিকে যাওয়া ৪০টির বেশি ফ্লাইট অন্য পথে পরিচালিত করে দেশটি। যদিও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তা ফের স্বাভাবিক করা হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করেছে ইউক্রেন। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ গ্রুপের বৈঠকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ইউরোপ এবং সব কোয়ালিশন সদস্য দেশের সমন্বয় ছাড়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।




Comments