ভিডিও দেখানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ, যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখানোর কথা বলে এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাজমুল খাঁ (২৩) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা অভিযুক্তকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাজিরা উপজেলার বড় কান্দি ইউনিয়নের আব্দুর বেপারী কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নাজমুল খাঁ ওই এলাকার আব্দুর রশিদ খাঁর ছেলে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, শিশুটি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্লে-তে পড়াশোনা করে। বিকেলে বাড়ির পাশে খেলতে গেলে নাজমুল খাঁ মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে তার ঘরে ডেকে নেয়। সেখানে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে শিশুটিকে বাড়িতে না পেয়ে তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশেই শিশুটিকে পাওয়া যায়। এ সময় শিশুটির পোশাকে রক্তের দাগ দেখে জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এরপর দ্রুত শিশুটিকে প্রথমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত নাজমুল খাঁকে আটক করে গণধোলাই দেয় এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমার শিশু বাড়ির পাশে খেলতে গিয়েছিল। মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখানোর কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে এ ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছে। আমি এর কঠোর বিচার চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা মামুন মুন্সি বলেন, ‘যেখানে একটি শিশুও নিরাপদ নয়, সেখানে সমাজ কতটা ভয়ংকর অবস্থায় আছে তা সহজেই বোঝা যায়। এই ঘটনার কঠিন বিচার হওয়া দরকার।’
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমিয়া সাদিনা জানান, শিশুটিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহম্মদ বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শিশুটিকে পুলিশের মাধ্যমে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরে তাকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’




Comments