শরীয়তপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের চৌরাঙ্গী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যা এবং খুলনায় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক মোতালেব শিকদারের ওপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে এনসিপির নেতাকর্মীরা শহরের চৌরাঙ্গী এলাকা দিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন।
মিছিল চলাকালে এক ছাত্রদল কর্মীর মোটরসাইকেল মিছিলে ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে দুই পক্ষই। জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রদলের এক কর্মী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে এনসিপির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
অন্যদিকে এনসিপির জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রদলের এক কর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ঢুকে পড়ে এবং আমাদের এক কর্মীর ওপর হামলা চালায়। আমরা তাকে ধরে রাখলে ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদারসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘এনসিপির একটি মিছিলে মোটরসাইকেল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’




Comments