Image description

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে বালু ভরাট করছে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। পুলিশ ও ভুমি অফিসের লোকজন গিয়ে বালু ভরাট বন্ধ করে দিলেও অজানা কারনে পুনরায় বালু ভরাট শুরু করেন ওই ব্যক্তি। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-কোটালীপাড়া মহাসড়কে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাইপাস সড়কের কুয়াতিয়ারপাড় নামক স্থানে মেডিকেল এ্যাসিসেন্ট ট্রেনিং স্কুল(ম্যাট্স) সংলগ্ন সওজ’র জায়গার পাশে মো. সফিকুল ইসলাম সকুল সেরনিয়াবাতের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। ওই জায়গা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বালু ভরাট শুরু করলেও প্রশাসনের কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়। 

পরবর্তীতে ওই জায়গা সকুল সেরনিয়াবাত উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গগুটিয়া গ্রামের সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে মো.আতিকুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। ওই ৯ শতাংশ জায়গার পাশে সওজ’র জায়গা রয়েছে। কিন্তু আতিকুর রহমান নিজের জায়গার সাথে সওজ জায়গাও বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে নিচ্ছেন। বালু ভরাট কাজ শুরু করার পর পুলিশ ও ভুমি অফিসের লোকজন গিয়ে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেন। কয়েকদিন পরে অজানা কারনে পুনরায় বালু ভরাট শুরু করেন আতিকুর রহমান। 

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সকলকে ম্যানেজ করে সওজ’র জায়গা বালু ভরাট করছে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি।

এব্যাপারে বালু ভরাটকারী অতিকুর রহমান মানবকন্ঠকে বলেন, সড়কের পাশে সবাই সরকারী জায়গা ভরাট করে তাই আমিও ভরাট করেছি।
 
রত্নপুর ইউনিয়ন সহকারী (ভুমি) কর্মকর্তা উত্তম বেপারী মানবকন্ঠকে বলেন, সরকারী জায়গা কেউ ভরাট করতে পারে না। আমরা ঘটনা ¯’লে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কি কারনে পুনরায় বালু ভরাট কাজ শুরু করেছে তা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। 

এব্যাপারে বরিশাল সওজ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.শাহিন মিয়া মানবকন্ঠকে বলেন, সওজ’র জায়গা কেউ ভরাট করতে পারে না। যদি ভরাট করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক মানবকন্ঠকে বলেন, বালু ভরাটের কথা শুনলাম। আমি সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো.বায়েজীদ সরদারকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবো।