মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জমির বিরোধের জেরে দুই ভাই জামাল উদ্দিন (৫৫) ও আব্দুল কাইয়ুমকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জমির উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে জানাজা শেষে নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটককৃত জমির উদ্দিন উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের বিওসি কেছরিগুল গ্রামের মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে। হামলার সময় তিনিও আহত হওয়ায় বর্তমানে তাকে পুলিশি প্রহরায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের বিওসি কেছরিগুল (মাঠগুদাম) গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল উদ্দিন কুয়েত প্রবাসী ছিলেন এবং তার ছোট ভাই আব্দুল কাইয়ুম পেশায় কৃষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতদের সঙ্গে জমির উদ্দিনদের দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় ফসলি জমিতে বিরোধের জেরে কাইয়ুমের সঙ্গে জমির উদ্দিন গংদের ঝগড়া শুরু হয়। খবর পেয়ে বড় ভাই জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
রোববার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ মরদেহ দুটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। সন্ধ্যা ৬টায় খলাগাঁও বাজার সংলগ্ন শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া গৌরনগর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত এলাকাবাসী এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের ফাঁসির দাবি জানান।
নিহত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অন্যদিকে আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রীসহ ছোট ছোট তিন সন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারিয়ে দুই পরিবারেই এখন শোকের মাতম চলছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান জানান, “ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত একজনকে আমরা পুলিশি হেফাজতে আটক করেছি। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার পর পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”




Comments