সিরিয়ার বেশ কিছু শহরে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দেশটির উপকূলীয় শহর লাতাকিয়া, তারতুস এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় হামা ও হামসসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে আসেন। নাগরিক অধিকার রক্ষা এবং কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এই বিক্ষোভে অন্তত তিনজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
হোমস শহরের একটি আলাউয়ি মসজিদে বোমা হামলায় ৮ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হওয়ার দুই দিন পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়। সিরিয়ার বাইরে বসবাসরত আলাউয়ি নেতা এবং 'সুপ্রিম আলাউয়ি ইসলামিক কাউন্সিল'-এর প্রধান গজল গজল রবিবারের এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন।
লাতাকিয়ায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) একজন আলোকচিত্রী জানান, সরকার সমর্থকরা আলাউয়ি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়লে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভকারীদের একটি দল তাদের দিকে ধেয়ে আসা এক পাল্টা বিক্ষোভকারীকে মারধর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী ফাঁকা গুলি ছুড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। সংঘর্ষে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী আহত হলেও হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তত এক ডজন স্থানে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে ফেডারেলিজম (যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা), ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং বাশার আল-আসাদ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক আলাউয়ি আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা আমাদের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নেমেছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো রাজনৈতিক ফেডারেলিজম দাবি করছি। নিজ ভূমিতে বারবার হত্যার শিকার হওয়ার পর এখন আমরা স্রেফ বেঁচে থাকার অধিকার চাইছি।’
Comments