Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার প্রশ্ন তুলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কি নির্বাচনে কারচুপি করতে চান? সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে তিনি এই অভিযোগ করেন।

সারোয়ার তুষার বলেন, “সিইসি বলছেন, যদি কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তাকে কোনো দলের পক্ষে কাজ করতে দেখা যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল যে, কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও, যদি ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪-এর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সিইসিকে বিচারের আওতায় আনা যাবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “কেন তারা এই সংস্কারের বিরোধিতা করেছিল? তারা বলেছিল, এটার দরকার নেই। আরপিও (রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডিন্যান্স) সংশোধনীর ক্ষেত্রেও তাদের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। কঠিন একটি আরপিওর মধ্য দিয়ে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

তুষার অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন কিছুদিন আগে এমন একটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিয়েছে, যাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকা শহরে সাংবাদিকরা খুঁজে পাননি। তিনি বলেন, “অথচ আমাদের জন্য তারা সবকিছু কঠিন করে দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, উপজেলা অফিসে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পরিদর্শনে গেছে। প্রতিটি উপজেলায় ২০০ ভোটারের তালিকা দিতে হয়। আমরাও তালিকা দিয়েছি। তারা র‌্যানডমলি ফোন করে ভোটারের নামের বিপরীতে ব্যক্তি আছে কিনা তা যাচাই করে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তারা ফোন করে বলেছে, ‘আপনি অমুক জায়গা থেকে এখনই অফিসে আসেন, আমরা দেখব আপনি আদৌ আছেন কিনা।’ এটা আমাদের সঙ্গে শত্রুতামূলক আচরণ।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যে ২০০ ভোটারের তালিকা দিয়েছি, তা পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে আছে। হঠাৎ করে একজন নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা ফোন করে অফিসে আসতে বলছেন। এটা অযৌক্তিক এবং আমাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ।”

সারোয়ার তুষারের এই বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি দাবি করেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কমিশনের উদাসীনতা এবং কঠোর নিয়মের কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অহেতুক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।