Image description

ম্যাচ ফিক্সিং ও অবৈধ বেটিং কেলেঙ্কারিতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তুরস্কের ফুটবল অঙ্গন। তদন্তের অংশ হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবের ফুটবলার, ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও ধারাভাষ্যকারসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ইস্তাম্বুলের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল-জাজিরার।

প্রসিকিউটর অফিস জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৪৬ জনের মধ্যে ২৯ জনই পেশাদার ফুটবলার। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, গ্রেপ্তার ফুটবলারদের মধ্যে ২৭ জনই নিজেদের দলের ম্যাচে বাজি ধরেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এই কেলেঙ্কারিতে তুরস্কের বড় ক্লাবগুলোর নামও উঠে এসেছে। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন তুরস্কের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গালাতাসারাইয়ের খেলোয়াড় মেতেহান বালতাচি। চলতি মাসের শুরুতেই বেটিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তিনি ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।

এছাড়া ইস্তাম্বুলের আরেক জায়ান্ট ক্লাব ফেনারবাচের মের্ত হাকান ইয়ানদাসের নামও উঠে এসেছে। প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, তিনি নিজের পরিচয় গোপন করতে অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ম্যাচে বাজি ধরেছেন। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে শাস্তি পেয়েছেন কোন্যাসপোরের সেনেগালিজ উইঙ্গার আলাসান নডাও। ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে।

তুর্কি চ্যানেল ‘এ হাবের’ জানিয়েছে, ফুটবলারদের পাশাপাশি ক্লাব কর্তারাও এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। আদানা দেমিরস্পোরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরাত সানচাকও গ্রেপ্তারি তালিকায় রয়েছেন। এর আগে গত ১০ নভেম্বর ছয়জন রেফারিকে প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশনে পাঠানো হয় এবং সুপার লিগ ক্লাব এয়ুপস্পোরের প্রেসিডেন্টকেও আটক করা হয়। মূলত এরপরই নড়েচড়ে বসে তুর্কি প্রশাসন।

তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) এ পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি খেলোয়াড়কে বেটিং ও ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায়ে নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে ২৫ জন তুরস্কের শীর্ষ লিগ বা ‘সুপার লিগ’-এর খেলোয়াড়। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাদের শাস্তির মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে ১২ মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্য ২৬ জন ফুটবলারের নাম প্রসিকিউটররা এখনো প্রকাশ করেননি, তবে তদন্ত অব্যাহত থাকায় আরও বড় নাম বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।