রাজধানীর বাজারে শীতকালীন শাকসবজি উঠতে শুরু করলেও দামে এখনও স্বস্তি ফেরেনি। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে মাছ ও মুরগির বাজার এখনও চড়া।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজির দাম আরও বেশি। টমেটো ১০০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা এবং মুলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পেঁয়াজ ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কচুর মুখী ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা ও শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকা। ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে; লাল ডিম ১৩০ টাকা এবং সাদা ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে কম দামে বিক্রি হওয়া আলুর দাম আরও ২ টাকা কমে প্রতি কেজি ২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পেঁয়াজের কেজি আগের মতোই ৭৫-৮০ টাকা রয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে সবজির দাম চড়া। শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে।
মাছের বাজারে প্রতি কেজি বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩০০-৪৫০ টাকা ও কাতল ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, চাষের ট্যাংরা ৫৫০-৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা ও শিং ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজারও চড়া দামে স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, লাল লেয়ার ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।




Comments