Image description

লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন ও প্রস্তুতির সময় বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়েও সমাধান না পাওয়ায় অবশেষে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাদের ন্যায্য দাবিগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া, নতুন ও পুরোনো পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটাকে বর্জনের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।

আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি সাইফ মুরাদ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি জানিয়ে আসছি। প্রথম ৩০ দিন আমরা রাস্তায় নামিনি, বরং পিএসসি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সমাধানের আশায় গিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি।”

সাইফ মুরাদ আরও বলেন, “পুরোনো পরীক্ষার্থীরা তিন মাস আগেই আরেকটি বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দেওয়ায় তারা প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু নতুন পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়া হয়নি, যা স্পষ্ট বৈষম্য।”

এছাড়া আন্দোলনে পুলিশের হামলায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কারও মাথায় একাধিক সেলাই লেগেছে। এই শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অসম্ভব। অথচ পিএসসি বা সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি।”

এদিকে পরীক্ষার্থীদের বর্জনের ঘোষণার পরও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। পিএসসি জানিয়েছে, পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকেই ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ—এই আটটি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে পদ-সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ের পরীক্ষা শুধু ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি পরীক্ষায় উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়, তবে পরবর্তী সময়ে পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে তারা আবারও কঠোর আন্দোলনে নামবেন।