Image description

শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রজনতা। সোমবার দুপুরে পুলিশের একাধিক বাধা ও ব্যারিকেড উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবন এলাকায় পৌঁছান তারা। পরে সেখান থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে।

সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যালয়ের সামনে থেকে ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা হলে পথে পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

দোয়েল চত্বর: বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে মিছিলটি দোয়েল চত্বরে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ছাত্ররা সেই ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যান।

হাইকোর্ট মাজার: ১টা ২৩ মিনিটে হাইকোর্ট মাজারের সামনে পুলিশ পুনরায় বাধা দেয়। সেখানেও ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলটি অগ্রসর হয়।

শিক্ষা ভবন: বেলা ১টা ২৭ মিনিটে শিক্ষা ভবন সংলগ্ন সচিবালয় অভিমুখী সড়কে পুলিশ শক্ত অবস্থান নেয়। ছাত্ররা সেখানে বাধা পেয়ে রাস্তায় অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

রাস্তায় অবস্থানের একপর্যায়ে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলটি তাদের দাবি-দাওয়া উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে রোববার ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এই কর্মসূচির ডাক দেন। তিনি ছাত্রজনতাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের মূল দাবি হলো—অবিলম্বে শরিফ ওসমানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করা।