জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিষয়ে সতর্ক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘এমন কোনো পদ্ধতির মধ্যে যেন না যাওয়া হয়, যা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে।’
আজ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কেউ যেন আমাদের এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে একসময় অবৈধ বলে আওয়াজ না দিতে পারে। সে কথা আমি আজ বা আগামী পাঁচ বছরের জন্য বলছি না। আগামী ১০ বছর পরে বা ১৫ বছর পরে যাতে এই প্রশ্নটা নিয়ে কেউ আদালতে না যেতে পারে, সে রকম একটা ভিত্তি আমাদের এখনই রচনা করতে হবে। সুতরাং অতি সাবধানে আমাদের অর্জিত সাফল্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘জুলাই হচ্ছে জাতীয় জীবনে রাজনৈতিক সমঝোতার একটি ঐতিহাসিক পূর্ণাঙ্গ দলিল; যা বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সেটা বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট ফোরাম হচ্ছে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ। এখানে কোনো দলের দ্বিমত নেই। তিনি বলেন, কিন্তু জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যাতে জাতীয় সংসদ বাধ্য থাকে, সেটার একটা প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে অথবা সরকারের কাছে দেওয়া হবে। সেই সুপারিশ দেওয়ার পরই আমরা জানতে পারব, কী কী প্রক্রিয়ায় সে আইনি ভিত্তিটা রচনা করতে চাচ্ছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি সবার অবগতির জন্য বলতে চাই, সব রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, আবেদন করতে চাই– আমরা যেন কোনোভাবে আইনানুগ প্রক্রিয়ার বাইরে না যাই, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বাইরে না যাই। আমরা যেন এই জাতিকে একটি সুষ্ঠু নিয়মতান্ত্রিক ধারার মধ্য দিয়ে পরিচালনা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য যদি কোনো কারণে নষ্ট হয়, তাহলে সেটা ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনকে কেবল টেনে নিয়ে আসবে বা ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনকে আহ্বান জানাবে। আমরা যেন সেদিকে না যাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এই প্রশ্নে এক থাকব। আর দ্বিতীয়ত, ফ্যাসিবাদকে আমরা কোনোভাবে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন হতে দেব না। সব দরজা বন্ধ করে দিতে হবে এই ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের। সেই জায়গায় যেন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।’




Comments