Image description

পাকা কলা ঘুষ খাওয়ার কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার যশোরে অনুষ্ঠিত গণশুনানি চলাকালে দুর্নীত দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এ নির্দেশনা দেন।

অবশ্য অভিযোগকারী রুস্তম আলীর দাবি, তাঁর কাছ থেকে পাকা কলা ছাড়াও ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন ওই কর্মচারী। এরপর আরও ৬ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। এই টাকা না দেওয়ায় জেলা পরিষদের জমির ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রসিদ) অন্যকে দিয়ে দেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, যত দিন যাচ্ছে, তত দুর্নীতি বাড়ছে। দুর্নীতির ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ পারাপার করেও টাকা আদায় করা যায়, দুর্নীতি করা যায়– এই যশোরে এসে নতুন দুর্নীতির ধরন শুনলাম। স্বৈরাচারের দোসর হোক, মামলার আসামি হোক, তারা যশোরের রাজনীতির এলিটদের মাধ্যমে ভারতে পার হচ্ছে। এটা যদি হয়, তাহলে রাষ্ট্রের প্রত্যাশা বিঘ্নিত হবে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

দুর্নীতির কারণে বিগত সরকারের পতন হয়েছে মন্তব্য করে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যদি ১৫ বছরের ইতিহাস দেখি, সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল দুর্নীতি। এই যশোর থেকে ন্যায়ের ও দুর্নীতিমুক্ত যাত্রাটা শুরু হবে।

জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুদক যশোরের আয়োজনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। শুনানিতে মডারেটর ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। শুনানিতে জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭টি দপ্তরের ৭৫টি অভিযোগের ওপর শুনানি হয়।