Image description

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ সড়কের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলা সড়কে। 

অভিযুক্তরা হলেন, ঠিকাদার জাহিদ হোসেন মজুমদার, তার ভাতিজা তানজিম হোসেন তায়েম ও তাদের সঙ্গীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।

উপজেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি ও ড্রেন নির্মাণ কাজ পান অনলাইন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী জাহিদ হোসেন মজুমদার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ও শ্যাওলা ধরা ইট ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সাংবাদিকরা ইউএনও ফাহরিয়া ইসলাম ও এসিল্যান্ড এসএম শাফায়াত আকতার নূরের কাছে অভিযোগ করেন। ইউএনওর নির্দেশে এসিল্যান্ড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ এবং গাঁথুনির ইট খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।

এদিকে, সন্ধ্যায় পরশুরাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ হাসান, সহ-সভাপতি সবীর আহমদ ফোরকান, কোষাধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আজমীর হোসেন মিশু, ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইব্রাহিমসহ সাংবাদিকরা শুভেচ্ছা কম্পিউটারে পেশাগত কাজ করছিলেন। এ সময় জাহিদ, তার ভাতিজা তায়েম ও ম্যানেজার মো. নয়নসহ ৫-৭ জন এসে অকথ্য গালিগালাজ ও হুমকি দেন। তায়েম সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে হামলার চেষ্টা করেন। পরশুরাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মহি উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য গাজী মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলাম ও আশপাশের লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।

খবর পেয়ে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হাকিমের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে সাংবাদিকরা পরশুরাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ঠিকাদার জাহিদ হোসেন গালিগালাজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছু ইটে শ্যাওলা ছিল, তবে সাংবাদিকরা দেয়ালের গাঁথুনির ইট লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে সাংবাদিকরা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছেন।

পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে মনবকন্ঠকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।