Image description

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিহত যুবদল নেতা এরশাদ মাঝি হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে এবার তার স্ত্রী খতিজা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলা প্রত্যাহার ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এরশাদের স্ত্রী খতিজা খাতুন, ভাই ফরহাদ, বোন রহিমা খাতুন এবং মামী খতিজা আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সকালে এ ঘটনায় নিহত এরশাদের স্ত্রী খতিজা খাতুন বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর একই ধরনের হামলার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং–১০৮৯) করা হয়েছিল।

নিহত এরশাদের বাবা রইছল হক অভিযোগ করে বলেন, ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর উপজেলার গুচ্ছগ্রামে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার নিজাম বাহিনীর হামলায় তার ছেলে এরশাদ মাঝি নিহত হন। হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও আসামিরা কিছুদিনের মধ্যে জামিনে মুক্ত হন। এরপর থেকে তারা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। দাবি পূরণ না করায় ২০ ও ২৩ সেপ্টেম্বর নিজাম ডাকাতের নেতৃত্বে পরিবারের ওপর একাধিক দফা হামলা চালানো হয়।

পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বারবার হামলা চালাচ্ছে। সর্বশেষ হামলার পর সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এখনও এফআইআর দায়ের হয়নি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে রইছল হক বলেন, “একদিকে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের চাপ, অন্যদিকে চাঁদার দাবি ও বারবার সন্ত্রাসী হামলায় আমরা পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।”

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পরিবারটি নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।