Image description

উত্তর বঙ্গের অন্যতম সবজি চাষে খ্যাত রাজশাহীর পুঠিয়ায় এই বছরে বেগুনের হলুদ ভাইরাসে বেগুন চাষিরা বিপাকে। পুঠিয়ায় এই বছর প্রায় পঞ্চাশ বিঘা শীত মৌসুমের সাদা ফুটকি জাতের বেগুন চাষ হয়েছে, কিন্তু অজানা রোগে আক্রান্ত বেগুন গাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে এবং পরিপূর্ণ বয়স হলেও গাছে তেমন ফুল-ফল দেখা যাচ্ছে না।

গত বছর থেকে এই হলুদ ভাইরাসে বেগুন গাছ আক্রান্ত হলেও চলতি বছরে এই ধরনের আক্রমণ আরও অনেক বেশি মনে করছেন বেগুন চাষিরা এবং এই জন্য বেগুন চাষীরা হতাশাগ্রস্ত এবং বেগুন চাষের প্রতি অনিহা প্রকাশ করছে। অনেকে এই রোগের আক্রান্তের কারণে এই বার বেগুন উৎপাদন অনেকাংশে কম হবে বলে মনে করলেও, সবজি ব্যবসায়ীরাও বেগুন কম উৎপাদনের জন্য কেনা-বেচার সমস্যা মনে করছেন। পুঠিয়া উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট বানেশ্বরে প্রতি হাটে প্রায় আট থেকে দশ টন বেগুন কেনা-বেচা হয় বলে জানান সবজি বিক্রেতা মঞ্জুর ইসলাম।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছ রোপণের বিশ থেকে পঁচিশ দিনের মাথায় এই ভাইরাস দেখা যাচ্ছে এবং আস্তে আস্তে পুরো গাছ এবং পুরোপুরি জমিতে বিস্তার লাভ করছে।
এই বিষয়ে জানতে কৃষক নিকটবর্তী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ ও পরামর্শ করে বিভিন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করেও তেমন কোনো ফলাফল পাচ্ছেন না বলে জানান নামায গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক রাশেল এবং বালিয়াঘাটি গ্রামের কৃষক শামীম। তাঁরা বলেন, হলুদ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেগুন গাছ উপড়িয়ে তোলা ছাড়া কোনো মেডিসিন নাই, আর এভাবে তুলতে তুলতে পুরো জমি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তাই মনে করছি এতো লোকসান করে আর বেগুন ফসল করবো না।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিভাষ সরকার বলেন, এটি বেগুনের মোজাইক ভাইরাস, এটা দমনের জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করলে কিছু রোধ হতে পারে।

বেগুন গাছের এই ভাইরাসের জন্য এই বছর লক্ষ্যমাত্রা বেগুন উৎপাদন অনেকাংশে কম হবে বলে কৃষকগণ মনে করছেন এবং এই ভাইরাস রোগ দমনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টিপাত করার আহ্বান জানান।