চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। ভাতিজা নাঈমের জানাজা শেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন তার চাচা রেজাউল হক (৫৫)। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৬টার দিকে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যধারী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত চাচা রেজাউল হক ছিলেন মৃত সিরাজুল হকের ছেলে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চাচা রেজাউল হকের জানাজা শেষে ভাতিজার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়, যা এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় মো. মোমিন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নতুন বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন নাঈম (১৯)। কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত হাতে থাকা রড বাঁকা করতে গিয়ে সেটি ওপর দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসে। এতে নাঈম বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাঈম মারা যান।
ময়নাতদন্ত শেষে ভাতিজা নাঈমের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে তার জানাজা সম্পন্ন হয় এবং তাকে কবরস্থ করার পরপরই চাচা রেজাউল হক অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভাতিজা নাঈমের মৃত্যু হয়। ভাতিজার মৃত্যুশোক সইতে না পেরেই চাচাও স্ট্রোক করে মারা গেছেন। স্থানীয়রা আরও উল্লেখ করেন, ভাতিজা নাঈমের মৃত্যুর পর হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়েই চাচা রেজাউল হক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করে মারা যান। এই চাচা-ভাতিজার আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আলমগীর বলেন, "বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মোঃ নাঈম নামে এক যুবক আহত হলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"




Comments