ধোবাউড়ায় মাদ্রাসার সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো এবং এর আড়ালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের মেকিয়ারকান্দা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে এই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বর্তমান পরীক্ষার হল সুপারের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফাইনাল ও টেস্ট পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও সহকারী সুপার আসাদুজ্জামান নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাদের প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাইভেট পড়ানোর সময়ই শিক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রাইভেটের বিষয়ে প্রথমে শিক্ষার্থীরা মুখ খুলতে না চাইলেও, পরবর্তীতে গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে তারা পরীক্ষার আগে প্রাইভেট পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে।
নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগমুহূর্তে কেন প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে সহকারী সুপার ও হল সুপার আসাদুজ্জামান প্রথমে নানা টালবাহানা করে বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে প্রমাণের মুখে তিনি প্রাইভেট পড়ানোর কথা স্বীকার করলেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগটি অস্বীকার করেন।
এদিকে, প্রতিষ্ঠানের সুপার এরশাদুল হক ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি এই অবৈধ প্রাইভেট কোচিংকে ‘স্পেশাল ক্লাস’ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমীক সুপারভাইজার নূরুল আমিন বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন প্রাইভেট পড়ানো বা প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’




Comments