রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় রবি মৌসুমে শীতকালীন ফসল আবাদের ভরা সময়ে সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খোলা বাজারে চড়া দামে সার বিক্রির অভিযোগের মধ্যেই সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বানেশ্বরে সরকারি ডিলারের দোকানে ন্যায্যমূল্যে সার কিনতে কৃষকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত সার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক কৃষক।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কৃষকরা আলু, গম, শীতকালীন শাকসবজি ও বোরো ধান আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে টিএসপি ও ডিএপি সারের অভাবে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে সার পাওয়া গেলেও ডিলাররা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন বলে অভিযোগ চাষিদের।
সোমবার সকাল ১১টায় বানেশ্বর বাজারের বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলার ওসমান আলীর বিক্রয়কেন্দ্রে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ন্যায্যমূল্যে সার বিক্রি শুরু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই সেখানে শত শত কৃষক ভিড় জমান। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সার সংগ্রহের চেষ্টা করেন তারা। তবে ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনেকে সার না পেয়েই বাড়ি ফিরেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক শাহজামান, ইলিয়াস আলী, মঞ্জুর রহমান ও আনারুল বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার ডিএপি ও ফসফেট সারের সংকট প্রকট। ডিলারদের দোকানে গেলে সার নেই বলে ফিরিয়ে দেয়, অথচ বেশি টাকা দিলে ঠিকই পাওয়া যায়। সরকারি সার ঠিকমতো না পাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, সারের এই সংকট সাময়িক। সরকার নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী ধাপে ধাপে সার সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষকদের তালিকা ধরে ন্যায্যমূল্যে সার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
কৃষকদের দাবি, দ্রুত সার সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে রবি শস্যের উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।




Comments