Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেছেন, “এটি ভারতের বিজয় দিবস। কারণ একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কাউকে রাখা হয়নি।” মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোলচত্বরে ঢাকা জেলা যুব বিভাগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেজর জলিলের লেখা ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, “পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে। যদি তারা বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের কাছে আত্মসমর্পণ করত, তবেই সেটা হতো বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওসমানীকে সেই অনুষ্ঠানে থাকতেই দেওয়া হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “যদি এটি বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয় দিবস হতো, তবে আজকের দিনটি অনেক সুন্দর হতো। জাতি স্বাধীনতা চেয়েও কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পায়নি। বাঙালি জাতি ভোটের অধিকার চেয়েছিল, কিন্তু তা থেকেও তারা বঞ্চিত হয়েছে।”

বিগত নির্বাচনগুলোর সমালোচনা করে জামায়াত নেতা বলেন, “স্লোগান ছিল ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে—‘আমার ভোট আমি দেব, অন্যের ভোটও আমি দেব’। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের মতো ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচন বাঙালি জাতি আর মেনে নেবে না।”

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ছাত্ররাজনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর এমন বিজয় হবে, তা কেউ কখনো কল্পনা করেনি। যুবকরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেকে একে ‘ভূমিধস’ বিজয় বলছেন, তবে আমি বলব এটি ‘হিমালয় ধস’ বিজয়। এই বিজয় আমাদের ধরে রাখতে হবে।”

সম্প্রতি ওসমান হাদীর ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক দিন আগে ওসমান হাদীকে গুলি করা হয়েছে। এটি শুধু তার ওপর নয়, বরং বাংলাদেশের কলিজায় গুলি করা হয়েছে। এভাবে গুলি করে যারা দেশকে অশান্ত করতে চায়, নির্বাচন ও সরকার ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে চায়—তাদের জেনে রাখা উচিত, বাংলাদেশের মানুষ আর শান্ত থাকবে না।”

ঢাকা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও অধ্যক্ষ শাহিনুর রহমান, ঢাকা-২ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক হাসানসহ ঢাকা জেলা জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।