Image description

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনে নির্বাচনী জোটের প্রার্থী হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে স্থানীয় বিএনপি। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাশেদ খানকে এ আসনে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী।

বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ছাত্রদল ও যুবদলের অনেক কর্মীকে ‘কাফনের কাপড়’ পরে প্রতিবাদে অংশ নিতে দেখা যায়। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ‘রাশেদের চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘বহিরাগতদের আস্তানা এই আসনে হবে না’ এবং ‘ঝিনাইদহ-২ এ ফিরে যা, নইলে চামড়া থাকবে না’ এমন সব আক্রমণাত্মক স্লোগান দেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খানের নাম ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই স্থানীয় বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ এবং জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদউজ্জামান বেল্টুর সহধর্মিণী মুর্শিদা জামান বেল্টু। তাঁরা দুজনেই এই আসন থেকে বিএনপির শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

সমাবেশে মুর্শিদা জামান বেল্টু বলেন, “আমরা কোনো বহিরাগতকে এখানে চাই না। দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের দুঃশাসন উপেক্ষা করে রাজপথে লড়াই করেছি। এখন অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা চাই ধানের শীষ স্থানীয় নেতার হাতেই থাকুক।”

সাইফুল ইসলাম ফিরোজ অভিযোগ করে বলেন, “রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-২ আসনে নির্বাচনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারেক রহমান এ আসনে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করবেন। কিন্তু বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ষড়যন্ত্র করে অর্থের বিনিময়ে একজন বহিরাগতকে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রিয় কালীগঞ্জবাসী, আপনারা ভোটের মালিক। আপনারা চাইলে আমি রাজনীতি করব, আপনারা চাইলে আমি নির্বাচন করব।” এ সময় উপস্থিত জনতা তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য স্লোগান দিয়ে আহ্বান জানান।

এদিকে, রাশেদ খানের মনোনয়নের প্রতিবাদে ফারহাদ হোসেন ও শাকিল আহমেদ নামে দুই যুবদল কর্মী কানে ধরে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন, যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে রাশেদ খানকে চাপিয়ে দেওয়া হলে তাঁকে কালীগঞ্জে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।