Image description

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যেই স্থানীয় হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে তাজা খিরা। বাজারে দাম তুলনামূলক ভালো থাকায় চাষিদের মধ্যে স্বস্তি ও আনন্দের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কাজিপুর উপজেলায় প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে খিরা চাষ করেছেন। শস্যভাণ্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর ছাড়াও তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলায় ব্যাপক হারে খিরা চাষাবাদ হয়েছে। পাশাপাশি যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও খিরা চাষে ভালো ফলন এসেছে।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার দেশীয় ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরাই চাষ করা হয়েছে। ক্ষেত থেকে খিরা উত্তোলন করে কৃষকেরা ভ্যান, ট্রলি ও অন্যান্য বাহনে করে প্রতিদিন বস্তাভর্তি খিরা হাট-বাজারে নিয়ে আসছেন। নাটোয়ারপাড়া বাজার, বর্ধনগাছা, হাটিকুমরুল, সলংগা, পাচলিয়া, বোয়ালিয়া, নওগাঁ, মোহনপুর ও নলকা এলাকার বিভিন্ন আড়ত ও বাজারে পাইকাররা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে খিরা কিনছেন।

কৃষকদের ভাষ্যমতে, শীতের আমেজ শুরু হলেও মৌসুমের শুরুতে খিরার দাম বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে কৃষকেরা হাট-বাজারে প্রতি কেজি খিরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করছেন। খুচরা বাজারে এর দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে প্রতিমণ খিরা ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। এসব খিরা ট্রাকযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে মৌসুমের শুরুতে প্রতিমণ খিরার দাম ছিল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা বলেন, “খিরা চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার শস্যভাণ্ডার খ্যাত এলাকা ও চরাঞ্চলে খিরা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম সন্তোষজনক থাকায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।”

সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে খিরা চাষ কাজিপুরসহ সিরাজগঞ্জ জেলার কৃষকদের জন্য বেশ আশাব্যঞ্জক ও লাভজনক হয়ে উঠেছে।