Image description

নরসিংদীর আলোকবালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আইয়ুব খান সরকারসহ পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আইয়ুব খান গুরুতরভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, সংবাদ সংগ্রহের জন্য আইয়ুব খানসহ কয়েকজন সাংবাদিক হাসপাতাল কম্পাউন্ডে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুমকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তার সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। এরপর তারা আইয়ুব খানের ওপর এলোপাথারি হামলা চালায়। হামলায় তার মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন তিনি। এ ছাড়া সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার আশিকুর রহমান পিয়াল, একাত্তর টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মো. ঈদুল ফিতর, সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মাহফুজুর রহমান এবং আরেকজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হন।

আহত সাংবাদিকদের চিৎকারে হাসপাতালে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এলে তারা হাসপাতালের ভেতরে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে র‌্যাব, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদা গুলশানারা কবির জানান, হামলার পর আইয়ুব খানকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার মাথার ডান পাশে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় ইনজুরির কারণে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক সদর থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।”

এই হামলার ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সংবাদ সংগ্রহের মতো পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।