
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাত মাইকে ঘোষণা দিয়ে এক মাজার ও দরগায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহর মাজারে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বেমজা মহসিন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেওয়া হয়। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত যুবক মো. মহসীনের গ্রেপ্তার দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সেদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম মহসীনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষুব্ধ জনতা মহসীনের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পাশের কফিল উদ্দিন শাহর মাজারেও হামলা চালানো হয়। আগুনে মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র ও তিনটি ঘর ভস্মীভূত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মহসীনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারও ইন্ধন আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ম অবমাননার পোস্টের ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও সকালে উত্তেজিত জনতা মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, বুধবারের ঘটনার পর থেকেই জনমনে ক্ষোভ ছিল। তারই জেরে বৃহস্পতিবার মাজারে হামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কফিল উদ্দিন শাহর দরগাহ কম্পাউন্ডে আরও কয়েকজনের মাজার রয়েছে।
Comments