Image description

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদকের জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে রাজৈর পৌরসভা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে রাজৈর পৌরসভার কর আদায়কারী এনামুল হকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, অনিয়ম ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রমাণ মেলে। জানা যায়, ১৪ তম গ্রেডের চাকরিজীবী হয়েও তিনি অনুমোদন ছাড়াই গ্রামের বাড়িতে তিনতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছেন।

একই অভিযানে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. শামিম মুন্সীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযানের সময় তিনি প্রয়োজনীয় নথি দিতে গড়িমসি করেন। এ ছাড়া শাফিয়া শরীফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে অনুমতি ছাড়াই শিক্ষা অফিসের কম্পিউটারে কাজ করতে দেখা যায়।

অভিযানে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খোন্দকার আবদুল মতিন, স্থানীয় সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান জানান, অভিযানে প্রাপ্ত প্রমাণ যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

এদিকে অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় কর আদায়কারী এনামুল হককে দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজৈর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল হক।

দুদকের এ অভিযানের খবরে রাজৈরের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ও সন্তোষের সাড়া পড়ে। স্থানীয়দের মন্তব্য, দুদক এখন সত্যিকার অর্থেই জনগণের প্রশংসা দাবিদার।