Image description

কুমিল্লায় সড়ক-মহাসড়কে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জেলা পুলিশ। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশের একাধিক সূত্রের মতে ছাত্রলীগ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে। ফলে সড়ক-মহাসড়কসংলগ্ন থানার পুলিশ সদস্যরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে টার্গেট করে নাশকতার নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে ছাত্রলীগ। মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এরই মাঝে দফায় দফায় ঝটিকা মিছিল ও নাশকতার চেষ্টা চালায় সংগঠনটি। এতে দাউদকান্দি ও সদর দক্ষিণ এলাকায় পৃথক ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১ সপ্তাহে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ১৩২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি ইকবাল বাহার বলেন, ছাত্রলীগের নাশকতা ঠেকাতে আমি নিজেই নিয়মিত সড়কে থাকছি। জেলা পুলিশের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় রয়েছে। মহাসড়কে অপরাধ প্রবণতা রুখতে আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই।

সদর দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মহাসড়কে ছাত্রলীগের অপতৎপরতা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। তাদের ঝটিকা মিছিল, নাশকতা ঠেকাতে না পারলে ওসি পদ থেকে প্রত্যাহার হতে হবে। তাই দিন-রাত মহাসড়কে প্রচুর সময় দিচ্ছি।

দাউদকান্দি থানার ওসি জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, মহাসড়কে নাশকতার প্রস্তুতিকালে গত এক সপ্তাহে আমরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছি। মহাসড়কে টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সুপার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ যেন কোনো অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব থানার ওসিদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারও দায়িত্বে গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না।