
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাসানচরে কুমারনদ থেকে ডুবে নিখোঁজ হওয়া শিশু সোয়াদের (৭) মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে নদীর তীরে বাঁশঝোপের পাশে ভেসে ওঠা অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান এলাকাবাসী।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের কুমারনদে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায় সোয়াদ এবং তার চাচাতো ভাই তৌসিক (৬)। এসময় তাদের উদ্ধারে নদীতে ঝাঁপ দেন দাদি মালেকা বেগম মালা (৭০)। তিনজনই পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন।
পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নদীতে দুটি মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। সন্ধ্যার দিকে উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর পরিচয় পাওয়া যায়- দাদি মালেকা বেগম ও নাতি তৌসিক। তবে আরেক নাতি সোয়াদের কোনো খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে শুক্রবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতদের হলেন; মালেকা বেগম মালা (৭০) স্বামী বেলাল উদ্দিন মৃধা, তৌসিক (৬) পিতা জহিরুল ইসলাম তোতা, সোয়াদ (৭) পিতা শরিফউদ্দিন মৃধা।
তৌসিক ও সোয়াদ দুজনই স্থানীয় ভাসানচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
ভাসানচর হামিদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকেই এলাকাবাসী শিশুটির খোঁজ করতে থাকে। পরে সকাল ৮টার দিকে বাঁশের ঝোপের পাশে ভেসে থাকা অবস্থায় সোয়াদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
একই পরিবারের তিন সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
Comments