রাঙ্গাবালীতে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. বায়েজিদ আহম্মেদ কালুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর বায়েজিদ কালুর অনুসারীরা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বঙ্গবাজারে মানববন্ধন করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বায়েজিদ আহম্মেদ কালু তার অনুসারীদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল পাশার বাসভবনের সামনে মিছিলসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। চেয়ারম্যানকে না পেয়ে তারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে প্রবেশ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউডিসি উদ্যোক্তার কক্ষে ভাঙচুর চালান। এ সময় চেয়ার-টেবিল, কক্ষের দরজা, কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি হস্তগত ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান কামাল পাশা জানান, বায়েজিদ কালু দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে বাধা দিয়ে আসছেন। তিনি সরকারি প্রকল্প ও জেলেদের সহায়তার চালের জন্য অবৈধভাবে চাঁদা দাবি করেছেন। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বায়েজিদ তার বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন এবং পরিষদ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। এর আগে বায়েজিদ কালু একাধিকবার তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন, যার কারণে তিনি রাঙ্গাবালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে বায়েজিদ আহম্মেদ কালু বলেন, “মানববন্ধনের পর লোকজন চলে গেছে। চেয়ারম্যানের লোকজনই ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর করে দায় আমাদের ওপর চাপাতে চাইছেন।”
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার জানান, “সকাল ১১টার দিকে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে বায়েজিদ কালুর লোকজন মানববন্ধন করেছে। এরপর ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এর আগে চেয়ারম্যান প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে থানায় জিডি করেছিলেন।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, বায়েজিদ কালুর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবারের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments