
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে, এবং ধর্ষিতা গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পূর্বসুজনকাঠী গ্রামের এক গৃহবধূ তার খালুর বাড়িতে বেড়াতে যান পশ্চিমসুজনকাঠী গ্রামে। ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ২-৩ জনের একটি দল তাকে অপহরণ করে। তারা গৃহবধূর মুখ বেঁধে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে পশ্চিমসুজনকাঠী গ্রামের দুলাল সরদারের ছেলে নাবিল সরদার, পূর্বসুজনকাঠী গ্রামের আলী বেপারীর ছেলে ফয়সাল বেপারীসহ তিনজন মিলে তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতা গৃহবধূ কোনোরকমে মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে আগৈলঝাড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১২, ২৬-৯-২০২৫)।
পুলিশ তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে একই দিন মামলার অন্যতম আসামী ফয়সাল বেপারীকে বাইপাস সড়কের চৌরাস্তা মোড় থেকে গ্রেফতার করে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে পাঠানো হয় এবং ধর্ষিতা গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুশংকর মল্লিক বলেন, “গৃহবধূর উপর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। একজন আসামীকে গ্রেফতার করে বরিশাল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Comments