রায়গঞ্জে অসহায় নারীদের জন্য বরাদ্দ চালে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নে ভি-ডাব্লিউ-বি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিশিয়ারি) কর্মসূচির সুফলভোগীদের মাঝে মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ও খাওয়ার অযোগ্য চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি মাসে ইউনিয়নের ২০২ জন নারী উপকারভোগীর মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। তবে সম্প্রতি গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিতরণ করা চালের মধ্যে পচন, পোকা ও দুর্গন্ধ পাওয়া গেছে। ফলে এসব চাল একেবারেই খাওয়ার উপযোগী নয়।
অভিযোগকারীরা বলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় সরকার এ কর্মসূচি চালু করলেও বাস্তবে তাদের হাতে অযোগ্য চাল তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে তারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, এ ধরনের অনিয়ম শুধু মানবিকতার লঙ্ঘন নয়, অসহায় মানুষের জীবনে তীব্র ভোগান্তি ডেকে আনে। তারা অবিলম্বে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. রোজিন পলাশ চালের মান খারাপ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “এবারের চালগুলো ভালো নয়। খাদ্যগুদাম থেকে যে চাল দেওয়া হয় আমরা সেটিই বিতরণ করি। তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হবে।”
উপজেলা সমবায় অফিসার ও ট্যাগ অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমি শুধু চাল বিতরণের উদ্বোধন করে এসেছি। বস্তা খুলে চাল দেখা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চান্দাইকোনা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস জানান, তিনি সদ্য যোগদান করেছেন। তাই কোন চাল কেমন মানের তা তার জানা নেই। তাছাড়া বিতরণকৃত চালগুলো তার যোগদানের আগেই গুদামজাত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, “পচা চাল বিতরণের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ ছাড়া এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ হবে না। তাই তারা কঠোর নজরদারি ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Comments