বাকেরগঞ্জে পূজার শুভেচ্ছা বিনিময়ে রাজনৈতিক নেতাদের ভোট প্রার্থনার হিড়িক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশালের বাকেরগঞ্জে রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে মন্দিরে মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ষষ্ঠী পূজার দিন থেকে শুরু হওয়া এই দৌড়ঝাঁপ অব্যাহত রয়েছে, যেখানে প্রার্থীরা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পূজামণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে দলীয় পরিচয়ে ভোটের আবেদন জানাচ্ছেন।
এ বছর বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় মোট ৭৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। প্রতি নির্বাচনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংককে টার্গেট করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের এই তৎপরতা বেড়ে যায়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক নেতাদের এই জনসংযোগ আরও জোরদার হচ্ছে। এই সময়ে অবহেলিত এলাকা ও স্থানীয় সমস্যাগুলোও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের এবার পূজামণ্ডপে শুভেচ্ছা বিনিময়ে বেশ তৎপর দেখা গেছে। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা এই জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের এই উপস্থিতি পূজামণ্ডপগুলোতে উৎসবের আমেজ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। নেতা-কর্মীদের আগমনে মন্দিরগুলোতে এক ধরনের আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ স্বপ্ন গড়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
পূজামণ্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আগত দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের পূজামণ্ডপে শুভেচ্ছা বিনিময় এই ধর্মীয় উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। তারা বিশ্বাস করেন, এই সম্প্রীতির বন্ধন ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।
এই উৎসবের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক নেতারা শুধু ভোট প্রার্থনাই করছেন না, বরং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছেন। তবে এই তৎপরতা কতটা আন্তরিক এবং কতটা নির্বাচনকেন্দ্রিক, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আগামী নির্বাচনে এই জনসংযোগ কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
Comments