গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি তুচ্ছ ডাব পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনকে গোপালগঞ্জের আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (০৬ অক্টোবর) বিকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গওহরডাঙ্গা গ্রামের নলবাগান নামক স্থানে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে গওহরডাঙ্গা এলাকার একটি গাছ থেকে ডাব পাড়তে যান শ্রীরামকান্দি গ্রামের মশিউর উস্তার ছেলে রোহান উস্তা (২০) এবং গওহরডাঙ্গা গ্রামের আকবর আলী খানের ছেলে সুমন খান (১৮)। ডাব পাড়া নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এই ঘটনার খবর দুই গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শ্রীরামকান্দি ও গওহরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় গ্রামের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, ডাব পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের তাড়া খেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। বর্তমানে এলাকায় শান্তি বজায় রয়েছে এবং ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ধরনের তুচ্ছ ঘটনা থেকে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।