২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাতক্ষীরা বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জন আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান।

এর আগে, এই মামলায় হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে বুধবারের রায়ে তাকে এবং অন্যান্য আসামিদের খালাস দেওয়া হয়। এছাড়া, একই ঘটনায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় হাবিবুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকেও খালাস দিয়েছিলেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পর শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগীকে দেখতে যান। যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

হাইকোর্টের এই রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছর পর এই মামলার সব আসামি খালাস পেলেন। এই ঘটনা রাজনৈতিকভাবে বেশ স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল, এবং এই রায় নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।