রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় এক গৃহবধূ ও তার সন্তানের গৃহশিক্ষককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এনে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটান।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন কিশোর একটি টিনশেড ঘরের সামনে দরজায় কড়া নাড়ছে। ঘরের ভেতর থেকে নারীকণ্ঠে জানতে চাওয়া হয় ‘কে’, উত্তরে কিশোরেরা বলে, ‘আমরাই।’ দরজা খোলার পর মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি ঘরে ঢুকে পড়েন। এ সময় ঘরের ভেতর থাকা তরুণ (গৃহশিক্ষক) ও গৃহবধূ বের হতেই তাদের সঙ্গে অসদাচরণ শুরু হয়। নারীটি প্রতিবাদ করলে তাকেও গালাগালি করা হয়।
পরে আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘরের বারান্দার বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ওই নারী ও গৃহশিক্ষকের দুই হাত ও কোমর রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। বেঁধে রাখা অবস্থায় গৃহশিক্ষককে অসুস্থ দেখা যায়। উপস্থিত অর্ধশতাধিক মানুষের মধ্যে কিছু কিশোর ও যুবক গৃহবধূর মাথার কাপড় টেনে খুলে দেন। এ সময় এক ব্যক্তিকে আহত গৃহশিক্ষককে ধরে রাখতে দেখা যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও বাসিন্দারা বলেন, গতকাল বিকেল চারটার দিকে গৃহশিক্ষক ওই বাড়িতে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করেন। পরে বাড়ির বারান্দায় খুঁটির সঙ্গে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এতে ওই গৃহশিক্ষক গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে একটি ভ্যানে করে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
এ ব্যাপারে কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, গতকাল বিকেল চারটার পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গৃহবধূকে পাওয়া গেলেও তিনি মুখ খোলেননি। গৃহশিক্ষককে হাসপাতালে পাঠানোর খবর পেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




Comments