Image description

ভারতে পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পেলেন না ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট বাজারের বিকাশ ও কম্পিউটার পণ্য ব্যবসায়ী ইসহাক আলী (২৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানা। ঘটনার ৪ বছর পর তাকে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হন তিনি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

পীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালের ২০ জুলাই ভোরে পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট-কর্নাই মাঝাপাড়া পাকা সড়কের দক্ষিণে পুকুর পাড়ে খুন হন বিকাশ ও কম্পিউটার পণ্য ব্যবসায়ী ইসহাক আলী। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়। সেই সময় মামলার ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি উপজেলার চন্দরিয়া গ্রামের নুরুল মেম্বারের ছেলে মাসুদ রানা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যায়। ঘটনার ৪ বছর পর সম্প্রতি ভারতে পুলিশের হাতে আটক হন মাসুদ। ভারতীয় পুলিশ তাকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। গত বৃহস্পতিবার বিএসএফ তাকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করে। এসময় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হন তিনি। পরে ঐ দিনই দুপুরে তাকে যশোরের চৌগাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। চৌগাছা থানা পুলিশ তার বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানতে পারে তিনি পীরগঞ্জের ইসহাক আলী হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামি। বিষয়টি জানতে পেরে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ চৌগাছা থানা থেকে মাসুদকে পীরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে এবং শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।

পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, বিকাশ ও কম্পিউটার পণ্য ব্যবসায়ী ইসহাক আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানা। দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে ছিলেন। বিএসএফ তাকে বাংলাদেশে পুশইন করে। বিজিবি মাসুদকে সীমান্তে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। খবর পেয়ে যশোরের চৌগাছা থানা থেকে তাকে ধরে এনে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ হত্যা মামলায় এর আগে উপজেলার জাবরহাট গ্রামের নয়ন (২০), মাধবপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩২) ও চন্দরিয়া গ্রামের মেজবাউল ইসলামকে (১৮) গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। মাসুদ গ্রেপ্তার হলেও এ মামলার আরও একজন আসামি পলাতক রয়েছেন। এলাকাবাসীর ধারণা তিনিও ভারতে পালিয়ে আছেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।