জলঢাকায় আলুর দাম না থাকলেও ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা
নীলফামারীর জলঢাকায় আলুর দাম কম থাকলেও আগাম জাতের আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। তারা নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে কায়িক শ্রম দিয়ে তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। গেলবার আলুতে লোকসান গুনলেও এবার তা পুষিয়ে নিতে তারা কোমর বেঁধে মাঠে পড়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এবার উপজেলার উঁচু জমিতে প্রায় ৪২০ হেক্টর জমিতে গ্রানুলা, সেভেন সহ বিভিন্ন জাতের আগাম আলুর চাষ হয়েছে। অন্যদিকে দুটি হিমাগারে এখনো প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুদ রয়েছে। বাজারে বর্তমান আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর একমাস পরেই উঠবে আগাম আলু। তাই দাম নিয়ে অনেকটাই সংশয় রয়েছে।
উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন জানান, "এবার পাঁচ বিঘা জমিতে সেভেন জাতের আলু লাগিয়েছি। গতবার দাম কমের কারণে আলুতে লোকসান হয়েছে। এবার দেখি আল্লাহ্ ভাগ্যে কী রেখেছেন"।
খুটামারা ইউনিয়নের কৃষক মাহাতাব আলী বলেন, "হাইব্রিড চায়না ধান কেটে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় আলু লাগানো হয়েছে। আশা করি নভেম্বরের পনের দিনের মধ্যে আলু তুলতে পারব। এসব আলু ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকি। কিন্তু এবার পুরোনো আলু অনেক রয়েছে। দাম যে কেমন হয় সেটাই ভাবনার বিষয়"।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিজানুর রহমান বলেন, "এ অঞ্চলে আগাম আলু জনপ্রিয় একটি ফসল। এর ফলন কম হলেও এটি আবাদ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়। কিন্তু এবার হিমাগারে পর্যাপ্ত আলু মজুদ থাকায় দাম নিয়ে সংশয় রয়েছে। যেখানে পানি জমে না, এসব জায়গা হলো এই আলু চাষ করার উপযুক্ত জমি। ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এই ফসল ঘরে তোলা সম্ভব"।



Comments