Image description

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সোনাই নদী থেকে সরকারি জায়গায় ইজারাবিহীনভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে মনতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অবস্থানকালে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান খবর পান যে, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বরুড়া গ্রামের রাবার ড্রাম এলাকার দক্ষিণ পাশে সরকারি খাস খতিয়ানের সোনাই নদী থেকে কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।

সংবাদ পাওয়ার পর তিনি অফিস সহায়ক মো. ইব্রাহীম আহাম্মদ লিটন ও মো. শরীফ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন ব্যক্তি নদী থেকে বালু তুলছেন। কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত পালিয়ে যান।

স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে পালিয়ে যাওয়া কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন— মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), মো. সোহেল মিয়া (৪৮), মো. শুভ মিয়া (২৫), মো. মাজহারুল ইসলাম (২৫), মো. শাকিল মিয়া (৩৩) ও মো. রনি মিয়া (৩২)। এরা সবাই স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ইজারাবিহীনভাবে সরকারি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছেন।

এ ঘটনায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান ২০১০ সালের বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এর ১৫(১) ধারায় মাধবপুর থানায় এজাহার দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা নিয়মিতভাবে সরকারি খাস খতিয়ানের নদী থেকে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করে আসছেন।

বুধবার সকাল ১১টায় মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সহিদ উল্ল্যা, চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম বলেন, “অবৈধ বালু উত্তোলন শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। যেকোনো মূল্যে সরকারি সম্পদ রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”