গফরগাঁওয়ে কাজ না করেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ উন্নয়নের ২ লাখ টাকা আত্মসাৎ!
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে অবস্থিত সাধুয়া বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচু মাঠ ভরাট করে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার উপযোগী করতে টিআর প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো কাজ না করেই এই টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে।
নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিন আরিফ রব্বানী এই বরাদ্দ দেন। প্রকল্পের সভাপতি করা হয় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জোবেদা নাহারকে। গত জুন মাসে প্রকল্প ক্লোজ করা হয়। এর চার মাস পরও মাঠে এক ইঞ্চি মাটিও ফেলা হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরাদ্দের পুরো টাকা তিন মাস আগে উত্তোলন করা হয়েছে কাগজে-কলমে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে। গত রবিবার দুপুর সোয়া ৩টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠটি ফেটে চৌচির হয়ে আছে, কোনো মাটি ভরাটের চিহ্ন নেই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জোবেদা নাহার বলেন, “বৃষ্টি ও অন্যান্য কারণে এতদিন মাটি ভরাট করতে পারিনি। এখন করা হবে।” তবে তিন মাস আগে টাকা তুলে প্রকল্প ক্লোজ করার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি দাবি করেন, বরাদ্দ ২ লাখ টাকা হলেও সহকারী শিক্ষা অফিসার ২৫% বা ৫০ হাজার টাকা কেটে রেখে দুই কিস্তিতে ১.৫ লাখ টাকা দিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক হেলাল উদ্দিন আরিফ রব্বানী বলেন, “আগে কাজ না হলেও এখন সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ হলে বিদ্যালয়ের লাভ।” টাকা আত্মসাৎ ও ৫০ হাজার টাকা কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। পরে বিএনপি নেতাদের নামে হুমকিও দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, প্রধান শিক্ষকের শ্বশুর নিগুয়ারী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন প্রধান ওরফে লালু মেম্বার হওয়ায় এই সাহস। তারা বলেন, “কোনো কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের চাপে হয়তো এখন কিছু কাজ করবে।”




Comments