১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলেন এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল
 
                   অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা–সদরপুর–চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ব্যবসায়ী মুফতি রায়হান জামিল। তিনি মাত্র ১ টাকায় কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন গরিব ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে নিজ হাতে অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেন এক কেজি করে গরুর মাংসের প্যাকেট। মানবিক এই উদ্যোগে খুশিতে আপ্লুত হয়ে পড়েন দরিদ্র পরিবারগুলো।
গরুর মাংস হাতে পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আক্তার হোসেন নামে এক যুবক বলেন, “রায়হান জামিল ভাই অসাধারণ মানুষ। তিনি যা বলেন, তা করেন। অনেকদিন পর পরিবার নিয়ে গরুর মাংস খেতে পারব—এটা যেন স্বপ্নের মতো।”
ভ্যানচালক আক্কাস মোল্যা বলেন, “ছয় মাস ধরে মাংস খাইনি। আজ পথে এক প্যাকেট মাংস হাতে পেয়ে আমি অবাক। মন থেকে দোয়া করি তার জন্য।”
গৃহিণী পারভীন আক্তার জানান, “স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে, মাসের বেশিরভাগ সময় কাজও থাকে না। কোরবানির পর আজ প্রথমবার মাংস খেতে পারছি। আল্লাহ যেন এমন ভালো মানুষকে বরকত দান করেন।”
বৃদ্ধ ভ্যানচালক সেক রহিম বলেন, “শুনেছি, উনি নাকি আগে ১০ টাকায় ইলিশও বিক্রি করেছিলেন। আজ ১ টাকায় মাংস দিলেন! আজ আর ভ্যান চালাব না—পরিবার নিয়ে একসাথে ভাত খাব।”
মুফতি রায়হান জামিল বলেন, “বর্তমান বাজারে গরুর মাংসের দাম এত বেড়েছে যে অনেক গরিব মানুষ কোরবানির ঈদ ছাড়া তা খেতে পারে না। তাই আমি তাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ১ টাকায় মাংস বিক্রি করছি। এর আগেও ২ টাকায় চাল, ১০ টাকায় ডিম ও ১০ টাকায় ইলিশ বিক্রি করেছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন,“ভালো কাজ করলে বাধা আসবেই, কিন্তু মানুষের কল্যাণে কাজ করা থামাব না। আমি চাই, সমাজে কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকে।”
দিনভর এ উদ্যোগে সহযোগিতা করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও তরুণ সমাজকর্মীরা। স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবে মুফতি রায়হান জামিল এখন এলাকার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
 
                



 
               
Comments